Sections 3(1)(Ka), 5
|
Probation of Offenders Ordinance, 1960
Sections 3(1)(Ka), 5
The Penal Code, 1860
Section 325
বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ
বিচারক ও আপিল আদালতের বিজ্ঞ
বিচারক সম্পূর্ণরূপে ভুলে
গেছেন যে, আমাদের দেশে
"প্রবেশন অব অফেন্ডার্স
অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০" (Probation of Offenders
Ordinance, 1960) নামে একটি আইন আছে এবং
বর্তমান মামলার প্রেক্ষাপটে
সেই আইনের ৫ ধারা
প্রয়োগযোগ্য। যখনই বিজ্ঞ
বিচারক ৩২৫ ধারার অপরাধে
আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করলেন
তখনই উনার উচিত ছিল "প্রবেশন
অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স,
১৯৬০"- এর ৫ ধারা বিবেচনা করা।
মামলার বিষয়বস্তু থেকে
প্রতীয়মান হয় যে, এই ঘটনা
ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে
তুচ্ছ একটা ঘটনার জের ধরে।
এইসব ক্ষেত্রে আসামিকে ১(এক)
বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে
প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল।
এমনকি, যেহেতু দন্ডবিধি ৩২৩
এবং ৩২৫ ধারা আপোষযোগ্য
অপরাধ (Compoundable offence) এবং যেহেতু
দুই পক্ষ হচ্ছে পরস্পর
আত্মীয় /প্রতিবেশী কাজেই
মামলাটি আপোষ মীমাংসা করা
যুক্তিযুক্ত ছিল।
"প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স
অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০" ধারা
৩(১)(ক) অনুসারে হাইকোর্ট
বিভাগেরও এই আইনের বিধান
প্রয়োগ করার এখতিয়ার আছে।
নজিরস্বরূপ ৫৮ ডিএলআর,৩২২-এ
প্রকাশিত আঃ খালেক বনাম
হাজেরা বেগম এবং আরেকজন
মামলার রায় দেখা যেতে পারে।
(ক) হাইকোর্ট বিভাগ; (খ) দায়রা
আদালত; (ঙ)১ম শ্রেণীর
ম্যাজিস্ট্রেট; এবং (চ) বিশেষ
ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্য
ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
দরখাস্তকারী নূর মোহাম্মদ-এর
দোষী সাব্যস্তের আদেশ (conviction)
এবং জরিমানা বহাল থাকবে তবে
তিনি যতদিন কারাদণ্ড ভোগ
করেছেন ততদিনই তার দন্ড
হিসেবে গণ্য হবে।... নুর
মোহাম্মদ বনাম সরকার, (Criminal), 2021(1)
[10 LM (AD) 496]
....View Full Judgment
|
Nur Mohammad =VS= State/ নুর মোহাম্মদ =বনাম= সরকার |
10 LM (AD) 496 |
Section 5
|
যখনই বিজ্ঞ বিচারক ৩২৫ ধারার
অপরাধে আসামিকে দোষী
সাব্যস্ত করলেন তখনই উনার
উচিত ছিল "প্রবেশন অব
অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স,
১৯৬০"- এর ৫ ধারা বিবেচনা করা।
মামলার বিষয়বস্তু থেকে
প্রতীয়মান হয় যে, এই ঘটনা
ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে
তুচ্ছ একটা ঘটনার জের ধরে।
এইসব ক্ষেত্রে আসামিকে ১(এক)
বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে
প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল।
এমনকি, যেহেতু দন্ডবিধি ৩২৩
এবং ৩২৫ ধারা আপোষযোগ্য
অপরাধ (Compoundable offence) এবং যেহেতু
দুই পক্ষ হচ্ছে পরস্পর
আত্মীয় /প্রতিবেশী কাজেই
মামলাটি আপোষ মীমাংসা করা
যুক্তিযুক্ত ছিল।…Nur Mohammad Vs. State and
ors., (Criminal), 15 SCOB [2021] AD 71
....View Full Judgment
|
Nur Mohammad Vs. State and ors. |
15 SCOB [2021] AD 71 |
কোন বিশেষ আইনের অধীনে দায়রা আদালত....
|
কোন বিশেষ আইনের অধীনে দায়রা
আদালত হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত
যেকোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল
এবং ১ম শ্রেণীর
ম্যাজিস্ট্রেটের
ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন আদালত
বা ট্রাইব্যুনাল- এই আইনের
বিধান প্রয়োগ করতে হবেঃ
দায়রা আদালত হিসেবে
ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন আদালত
বা ট্রাইব্যুনাল এবং ১ম
শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের
ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন আদালত
বা ট্রাইব্যুনাল- এই আইনের
বিধান প্রয়োগ করতে পারবে।
সুতরাং বিশেষ ক্ষমতা আইন,
১৯৭৪ (Special Powers Act, 1974)-এর ধারা ২৯,
সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ১৯৯২
(Anti-Terrorism Act, 1992)- এর ধারা ১৫(১),
সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯
(Anti-Terrorism Act, 2009)- এর ধারা ২৭(৩), নারী
ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান)
আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ২৩(১), জন
নিরাপত্তা (বিশেষ বিধান) আইন,
২০০০-এর ধারা ২১(১), নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর
ধারা ২৫(১), ক্রিমিনাল ল
এ্যামেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট,
১৯৫৮-এর ধারা ৬(১)(ক), এবং ফরেন
এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন এ্যাক্ট,
১৯৪৭-এর ধারা ২৩ক(৩)-এ
উল্লেখিত বিধান অনুসারে
ক্ষেত্রমতে ট্রাইব্যুনাল
অথবা আদালতসমূহ দায়রা আদালত
বলে গণ্য হবে। দ্রুত বিচার
আইন, ২০০২-এর ধারা ১২(২)
অনুসারে ১ম শ্রেণীর
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বলে
গণ্য হবে এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ
রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৯৪৭-এর
ধারা ২৩ক(৩) অনুসারে
ক্ষেত্রবিশেষ ট্রাইব্যুনাল
১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
আদালত অথবা দায়রা আদালত বলে
গণ্য হবে। উপরোক্ত আলোচনার
প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে যে,
কোন কোন বিশেষ আইনে অপরাধের
ক্ষেত্রেও "প্রবেশন অব
অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স,
১৯৬০" প্রয়োগ করা যাবে।…Nur Mohammad
Vs. State and ors., (Criminal), 15 SCOB [2021] AD 71
....View Full Judgment
|
Nur Mohammad Vs. State and ors. |
15 SCOB [2021] AD 71 |