কোটা
|
Constitution of Bangladesh, 1972
Article 103 and 104 read with
১৯৯৮ সনের উপসচিব পদে নিয়োগ
/পদোন্নতির নীতিমালার ‘ঙ’
দফা বা ২০০২ সনের বিধিমালার ৫
বিধি
উপ-সচিবগনের মধ্য হইতে
কোনরূপ কোটা ব্যতিরেকে
পদোন্নতির মাধ্যমে
যুগ্ম-সচিব পদে নিয়োগ
পাইবেন। একই ভাবে
যুগ্ন-সচিবগনের মধ্য হইতে
কোনরূপ কোটা ব্যতিরেকে
পদোন্নতির মাধ্যমে অতিরিক্ত
সচিব পদে নিয়োগ পাইবেন-
প্রকৃতপক্ষে মাঠ পর্যায়ে
প্রশাসন এবং নির্বাহী
বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের
সহিত উপ-সচিব, যুগ্ন-সচিব,
অতিরিক্ত সচিব ও সচিবগণ
সেতুবন্ধের মতো কার্য করেন।
এই কারণেই বৃটিশ আমল হইতেই
সচিবালয়ের উপ-সচিব ও তৎউর্ধ
পদে সব সময়েই প্রশাসনিক
কর্মকর্তাগন নিয়োগ ও
পদোন্নতি পাইতেন।
একমাত্র ব্যতিক্রম SSP Order এর
মাধ্যমে সকল ক্যাডার হইতে
উপ-সচিব ও তৎউর্ধ পদে
নিয়োগ/পদোন্নতি প্রদান করা
হইয়াছিল যাহা ১৯৮৯ সনেই
পরিত্যক্ত হইয়াছে।
যেহেতু PSC এর সুপারিশ
পর্যায়ে হইতেই কর্মকর্তাগণ
বিভিন্ন ক্যাডারে
শ্রেণীভূক্ত হইয়া যায় সেই
হেতু সচিবালয়ের প্রশাসনিক
উপ-সচিব পদে প্রশাসনিক
কর্মকর্তাগণ ব্যতিরেকে অন্য
ক্যাডারের কর্মকর্তা গনের
পুনরায় নিয়োগ বা পদোন্নতি
প্রাপ্ত হইবার কোন সহজাত
অধিকার নাই।
এইরূপ আইনগত অবস্থায় ১৯৯৮
সনের উপ-সচিব পদে
নিয়োগ/পদোন্নতির নীতিমালার
‘ঙ’ দফা বা ২০০২ সনের
বিধিমালা ৫ বিধি এবং
তৎসংশ্লিষ্ট প্রথম তফসিলে
বর্ণিত পদ্ধতি যে ৭৫% পদ সিভিল
সার্ভিস (প্রশাসন) এবং
অবশিষ্ট ২৫% পদ অন্যান্য সকল
ক্যাডারের সিনিয়র স্কেল পদে
কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য
হইতে পদোন্নতির মাধ্যমে
উপ-সচিব পদে নিয়োগ প্রদানের
বিধি প্রণয়নকে অযৌক্তিক
(unreasonable) বা যথা যুক্ত
ভিত্তি-নিকষ বহির্ভূত (irrational basis)
হইয়াছে তাহা বলা যায় না,
বরঞ্চ উক্ত বিধান যৌক্তিক,
বাস্তব সম্মত এবং সংবিধান
সম্মত হইয়াছে বলিয়াই
প্রতীয়মান হয়।
প্রথম তফসিলের দ্বিতীয়
ক্রমিকে বর্ণিত যুগ্ম-সচিব
এবং তৃতীয় ক্রমিকে বর্ণিত
অতিরিক্ত সচিব পদের কোটা
পদ্ধতির কোন যথোপযুক্ত
ভিত্তি-নিকষ(rational basis) পাওয়া
যায় না। ইহা একটি অযৌক্তিক
(unreasonable) শ্রেণীভুক্তকরণ (classification)
বিধায় অবৈধ হইবে।
যখনই কোন কর্মকর্তা ২০০২
সনের বিধিমালা অনুসারে
উপ-সচিব পদে পদোন্নতি
প্রাপ্ত হইলেন, তাহা যে কোন
ক্যাডারে হইতেই হউক না কেন,
তিনি তখন একজন পরিপূর্ণ
উপ-সচিব। তাহার পূর্বের
ক্যাডার পরিচয় তখন বিলুপ্ত
হইবে। তিনি সচিবালয়ের
উচ্চতর উপ-সচিব পদে তখন তিনি
অধিষ্ঠান। সেই অধিষ্ঠা(status)
লইয়াই অন্য সকল উপ-সচিবের
সহিত এক শ্রেণীভূক্ত হইয়া
সমস্ত অধিকার লইয়া তিনি
পরবর্তী উচ্চতর যুগ্ম-সচিব
পদে বা পরবর্তীতে অতিরিক্ত
সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত
হইবার জন্য বিবেচিত হইবেন।
এমত অবস্থায় যুগ্ম-সচিব ও
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির
জন্য কোটা আরোপ অবৈধ বিধায়
উক্ত উভয় ক্ষেত্রে নিয়োগ
পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করা হইল।
উপ-সচিবগনের মধ্য হইতে
কোনরূপ কোটা ব্যতিরেকে
পদোন্নতির মাধ্যমে
যুগ্ম-সচিব পদে নিয়োগ
পাইবেন। একই ভাবে
যুগ্ন-সচিবগনের মধ্য হইতে
কোনরূপ কোটা ব্যতিরেকে
পদ্দোন্নতির মাধ্যমে
অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়োগ
পাইবেন।
অতএব, সংবিধানের ১০৩ ও ১০৪
অনুচ্ছেদ এর আওতায়
নিম্নলিখিত নির্দেশনা
প্রদান করা হইল:
ক) ১৯৯৮ সনের পূর্বতন
নীতিমালা এর উপ-সচিব পদে
পদোন্নতি/নিয়োগের
নীতিমালার ‘ঙ’ দফা বৈধ ছিল;
খ) সরকারের উপ-সচিব,
যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও
সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা,
২০০২ এর ৫ দফা বৈধ;
গ) ২০০২ সালের বিধিমালার
প্রথম তফসিলের ১ম ক্রমিকে
বর্ণিত উপ-সচিব পদে নিয়োগ
পদ্ধতি বৈধ;
ঘ) প্রথম তফসিলে ২য় ও ৩য়
ক্রমিকে বর্ণিত যুগ্ম-সচিব ও
অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়োগ
পদ্ধতিতে কোটা আরোপ অবৈধ
বিধায় উক্ত দুই পদে
পদোন্নতি জন্য কোটা পদ্ধতি
বাতিল করা হইল। ...Government of Bangladesh =VS=
Tauhid Uddin Ahmed, (Civil), 2020 [9 LM (AD) 185]
....View Full Judgment
|
Government of Bangladesh =VS= Tauhid Uddin Ahmed |
9 LM (AD) 185 |